ফুঁ দিয়ে এই চেরাগ নিভানো যাবে না!পর্ব - ৬ষ্ঠ

 ফুঁ দিয়ে এই চেরাগ নিভানো যাবে না!পর্ব - ৬ষ্ঠ



সুদৃঢ় বিশ্বাস
.
এমন লোকদের উপর যখন আল্লাহর পরীক্ষা বিপদ ও বঞ্চিত হওয়ার আকৃতিতে আসে এবং তার মধ্যে বৃদ্ধি পায় তখন আল্লাহর সাহায্যের উপর তার বিশ্বাস কখনো নড়বড়ে হয়ে যায় না, বরং সুদৃঢ় হয়ে থাকে। সে জানতে পারে আল্লাহ তাড়াতাড়ি সাহায্য পাঠাবেন। কিন্তু যদি তার সাহায্য আসতে দেরী হয়, তখন সে নিজের প্রজ্ঞাবান রবের হেকমতের উপর সন্তুষ্ট থাকে। সে বুঝতে পারে যে, لَا يَقْضِيَ اللّٰهُ لِلْمُؤْمِنِ قضاءً الا كان خيرًا لهُ আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য যে ফায়সালা করেন তার মধ্যেই মুমিনের কল্যাণ নিহিত।

 এই বিলম্ব তাঁর ঈমানের জন্য, আহলে ঈমানদের জন্য, সমস্ত উম্মতের জন্য এবং সকল মানুষের জন্য সে কল্যাণকর মনে করে। এবং এই আসায় সামনে বাড়ে যে, এখন নয় তো কাল সাহায্য আসবে। দেরি হচ্ছে তো এই দেরির কারণ সে এটা মনে করে যে, এর মধ্যে আল্লাহর হেকমত রয়েছে। সে আল্লাহর হেকমতের উপর বিশ্বাস রাখে এবং সে হাকিম রবের এই ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকে।
.

আল্লাহর মুহাব্বত
.
তাঁর ক্ষত-বিক্ষত দিল ও রক্তাক্ত শরীরের জন্য এটাও বাস্তবিক উপশম হিসাবে সাব্যস্ত হয় যে, সে আল্লাহর মাহবুব বান্দা। এবং এটাও আল্লাহর মুহাব্বত। এই পরীক্ষার জন্য তাঁকে বাছাই করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা যখন কোনো জাতিকে পছন্দ করেন তখন তাদের পরীক্ষার সম্মুখীন করেন। সুতরাং তাদের সকল ‘আহ’ এবং সকল দুঃখ-কষ্ট আল্লাহর রাস্তার সকল বেদনা, সকল ভয়ভীতি, আল্লাহর নৈকট্য, আল্লাহর সাথে আরও বেশি মুহাব্বত এবং আল্লাহর মাগফিরাত লাভের কারণ হয়ে যায়। এবং এটাই আসল লক্ষ-উদ্দেশ্য হওয়া চাই।
.

সাহায্য ও বিজয়ের প্রতি বিশ্বাস
.
ময়দানে সাহায্য ও বিজয়, যে ইসলামাবাদে শরিয়ত বাস্তবায়ন হয়ে যাবে, এই জাতির খিলাফত ব্যবস্থার দেখা মিলবে, আল্লাহর রহমত পাবে, তাদের উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হবে, দিল্লিতে তাওহিদের ঝাণ্ডা দৃষ্টিগোচর হবে, হিন্দুস্তানের মুসলমানরা জুলুম থেকে মুক্তি পাবে। এই বিজয় ও সাহায্যের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, এ ক্ষেত্রেও নিরাশ হয়ো না; এর থেকেও তোমরা মাহরুম হবে না ইনশাআল্লাহ!

َأُخرىٰ تُحِبّونَها ۖ نَصرٌ مِنَ اللَّهِ وَفَتحٌ قَريبٌ ۗ


এবং যেটা তোমরাও পছন্দ কর
.
চিন্তা করুন, ‘যেটা তোমরা পছন্দ কর’। আল্লাহ তা‘আলা তো অমুখাপেক্ষী, যেটা তোমরা পছন্দ কর। কে এটা পছন্দ করে না যে, আল্লাহর শরিয়ত বাস্তবায়ন হোক? আমরা সবাই পছন্দ করি যে, আমাদের বিজয় লাভ হোক, সাহায্য পেয়ে যাই। আল্লারহ দ্বীনকে আমরা এই দুনিয়ার মধ্যে বিচারক হিসাবে দেখব। তো আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা যেটি পছন্দ কর সেটাও নিকটবর্তী; বেশি দূরে নয়।

وَبَشِّرِ المُؤمِنينَ


সুসংবাদ তো মুমিনদের জন্য
.
যে মুমিন বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ আমার মালিক, আমার খালিক, আমার হাকিম, তিনি সম্মান দান করেন, লাঞ্চনা দেন, জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দেন। যে দুনিয়ার সকল বিষয়ে এই বিশ্বাস রাখে যে, যখন আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করেন তখন আমার উপর এই কষ্ট আসবে, আর যদি না চান তাহলে তো এই সবকিছু অর্জন হবে। তখনও এটা আমাকে কোনো প্রকার পীড়া দেয় না। তো আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَبَشِّرِ المُؤمِنينَ

ঐ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দাও; বিজয়ের সুসংবাদ, আল্লাহর নুসরতের সুসংবাদ। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের দূর্বলদের মুমিন বানিয়েছেন এবং তিনি আমাদের এই সৌভাগ্যবানদের মধ্যে শামিল করেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে এই পরীক্ষায় এবং সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করুন। আমাদের যে ভাই কয়েদখানা’য় রয়েছে, আমাদের যে ভাই পাকিস্তানের এজেন্সির কাছে বন্দি রয়েছে, সকল দ্বীনি জামাআত, জিহাদী দলের মুজাহিদগণ, মুমিনগন ও দায়ীগনকে আল্লাহ তা‘আলা আত্মসমর্পনকারী বানিয়ে দিন। আমীন!

দৃঢ়তা প্রদর্শনকারী মুজাহিদীনের ভূমিকা
.
পরীক্ষার দুনিয়াবী ফলাফল
.
ঈমান ও দ্বীনের বড়ত্ব অন্তরে গেঁথে যাওয়া। মুমিনরা যখন বিপদাপদে দৃঢ়তা দেখায়, কষ্টের সময় ধৈর্যধারণ করে তখন তাঁরা বুঝতে পারে যে, এই পরীক্ষার দ্বারা তাদেরকে এক মহান উদ্দেশ্যে এক বিশাল কষ্টের নিসাবে অতিবাহিত হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অতঃপর হকের জন্য যখন সে নিরাপদ ও স্থীরতার কুরবানি দেয়, অন্তরের কামনা-বাসনাকে যখন সে মেরে ফেলে, সবচেয়ে প্রিয় সাথীদের শাহাদাতের ফলে তার অন্তর যখমে জর্জরিত হয়, সবচেয়ে নিকটাত্মীয়দের থেকে সে দূরে সরে যায়, নিজের দেশের কুরবানি করে, হিজরতের মাধ্যমে উন্মাদের মতো জীবন বেছে নেয়, জিহাদ ও কিতালের ময়দানে, দাওয়াতের ময়দানে সর্বপ্রকার ভয়ভীতি ও আশঙ্কার সম্মুখীন হলে অটল থাকে, তখন এই সকল কুরবানির বদৌলতে ঈমান ও উচ্চাকাঙ্খার মাহাত্ম তার হৃদয়ের গভীরে গেঁথে যায়। অতঃপর সে কোনো মূল্যেই এই লক্ষ্য বিক্রি করে না। এই অভিশপ্ত দুনিয়ার কয়েকটি নিশ্বাসের জন্য আখেরাতকে বিক্রি করে দেয় না।
.

লোভ ও উপঢৌকনের মোকাবেলায় মুমিনের জবাব
.
যদি কখনো দুনিয়ার উপঢৌকন এমন মানুষের জন্য হয় যে শত বাধা সত্ত্বেও জিহাদ পরিত্যাগ করেনি, তখন বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে তাদের উপঢৌকন দেওয়া হয়। কিন্তু যখন মুমিনরা এই উপঢৌকনকে লাথি মেরে ফেলে দেয় তখন এই শয়তান, জালেম ও হত্যাকারীরা মুমিনদেরকে নিরাপত্তার জীবন দেখিয়ে বলে যে, দেখ কেমন ভালো জীবন! আর তোমরা কোথায় আছ? পাহাড়ে উন্মাদের জীবন যাপন করছ! এর জবাবে মুমিনরা বলে,

وَيٰقَومِ ما لى أَدعوكُم إِلَى النَّجوٰةِ وَتَدعونَنى إِلَى النّارِ

হে লোকসকল! আমি তোমাদেরকে নাজাতের দিকে আহ্বান করি, আর তোমরা আমাকে আগুনের দিকে আহ্বান কর?
.
আমি তোমাদেরকে আল্লাহর দ্বীনের দিকে, তাঁর শরিয়তের দিকে, দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতার দিকে এবং উঁচ্চতার দিকে আহবান করি, আর তোমরা লাঞ্চনা, জিল্লতি, নীচতা ও এই পঁচা দুনিয়ার দিকে আহবান করছ? তোমারা আমাকে আগুনের দিকে ডাকছ?

تَدعونَنى لِأَكفُرَ بِاللَّهِ

তোমরা আমাকে আহ্বান করছ, যেন আমি আল্লাহর না-শুকরিয়া করি?

وَأُشرِكَ بِهِ ما لَيسَ لى بِهِ عِلمٌ

তাঁর সাথে শিরক করি, যার ব্যাপারে আমার ইলম নেই?

এই কুফরি নেযামের সামনে মাথা নত করি? এই জুলুমবাজির নিয়মের সামনে আত্মসমর্পন করি? আমি আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমেরিকাকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করব? আমেরিকার গোলামদের সামনে ঝুকে যাব? আল্লাহর দ্বীনের আদালতের নীতি আমাকে কী বলে? তাঁর দ্বীন আমার থেকে কী চায়? তাঁর চাওয়া ও কামনা ছেড়ে তোমাদের ও তোমাদের প্রভুদের চাওয়ার উপর, তোমাদের ইলাহ আমেরিকার চাওয়ার উপর এসে যাই? তোমাদের মুলহিদ ও মুশরিক প্রভুদের চাওয়া পাওয়া মেনে নেব? কেননা তোমরা তো এই পাকিস্তানকে মুলহিদদের (দ্বীন ত্যাগীদের) আড্ডাখানা বানাতে চাও। পাকিস্তানকে মুশরিকদের বিচরণগাহ বানাতে চাও। আর আমি

وَأَنا۠ أَدعوكُم إِلَى العَزيزِ الغَفّٰرِ
আমি তোমাদেরকে সম্মানিত ক্ষমাশীল রবের দিকে আহবান করি।
لا جَرَمَ أَنَّما تَدعونَنى إِلَيهِ
তোমরা যার দিকে আমাকে আহবান করো
لَيسَ لَهُ دَعوَةٌ فِى الدُّنيا وَلا فِى الءاخِرَةِ
দুনিয়া ও আখেরাতে তার কোনো গুরুত্ব বা স্থান নেই।
وَأَنَّ مَرَدَّنا إِلَى اللَّهِ
আমাদের ও তোমাদের প্রত্যাবর্তনস্থান তো আল্লাহর দিকেই।
وَأَنَّ المُسرِفينَ
যারা বাড়াবাড়ি করে, আল্লাহর বন্ধুদের সাথে, আল্লাহর রাস্তার সাথে, জিহাদের সাথে শত্রুতা রাখে, আল্লাহর রাস্তার মুসাফিরদের সাথে, দ্বীনের উলামাদের সাথে, মাদারেসের উপর জুলুম করে, আলেমদের অসম্মান করে
هُم أَصحٰبُ النّارِ
তারা সকলেই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। আর তারাই বলবে
فَسَتَذكُرونَ ما أَقولُ لَكُم ۚ
আমরা যা কিছু বললাম সবই তোমরা স্বরণ করবে।
وَأُفَوِّضُ أَمْرِي إِلَى اللَّهِ ۚ
আমার বিষয় আমি আল্লাহর কাছে সোপর্দ করলাম।
إِنَّ اللَّهَ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ
নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা বান্দাদের সবকিছু দেখেন।

হুমকি–ধমকির বিপরীতে মুমিনদের কর্মনীতি :
.
যখন মুমিনদের সামনে দুনিয়ার ধন-দৌলত ও বিভিন্ন উপঢৌকন উপস্থাপন করে ব্যর্থ হয়ে যায়, তখন মুমিনদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখালিখি শুরু হয়ে যায়, টিভি চ্যানেলে এসে বারবার বলতে থাকে, সমস্ত মাধ্যম প্রয়োগ করে যখন সফল না হয় তখন অতীত স্বরণ করিয়ে ভয় দেখানো হয় যে, তোমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার! তোমরা বন্ধ পথে যাচ্ছ! বন্ধ পথ!
.
আলহামদুলিল্লাহ! এটা বন্ধ পথ নয়, এটা মহাসড়ক! এটা মহাসড়ক! এই পথ আল্লাহর দিকে যায়। আমরা বন্ধ পথে যাচ্ছি না। আলহামদুলিল্লাহ! যেদিন আমরা নিজেদের ঘর থেকে বের হয়েছি ইখলাসের সাথে বের হয়েছি। কে তোমাদের বলেছে সে এজন্য বের হয়েছে যে, সে ফ্লাট বানাবে, বড়বড় গাড়ি নিবে, খুব প্রসিদ্ধি অর্জন করবে, বড়বড় জায়গা নিজের নামে লিখবে?

 সে জানে যে, সে চীফ অফ আর্মি স্টাফ হবে না। এই পথের মুজাহিদ যেদিন ঘর থেকে বের হয়েছে সেদিন সিদ্ধান্ত নিয়েই বের হয়েছে। সে ঐ শামের দিকে বের হয়েছে, যে শাম সম্পর্কে তোমরা ভয় দেখাও- হত্যা! হত্যা! মৃত্যু!, যে শাহাদাত সম্পর্কে তোমরা ভয় দেখাতে, সে তো সেই শাহাদাত লাভের জন্যই বের হয়েছে! যখন তাঁর উপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, হুমকি দেওয়া হয় তখন এই মুমিনদের উপমা ঐ দরবারী নওমুসলিমের মতো হয়, যারা ফেরাউনের দরবারে মুসলমান হয়েছে। যখন ফেরাউন তাদের ভয় দেখাল-

فَلَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ مِنْ خِلَافٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ فِي جُذُوعِ النَّخْلِ

আমি তোমাদের হাত পা উল্টাদিকে থেকে কেটে ফেলব, খেজুরের কাণ্ডে তোমাদের শুলিতে চড়াব, তোমাদের ফাসি দেব।

কেউ বাঁচতে পারবে না। বোমা মেরে দেব, মিসাইল মেরে দেব, মাথায় গুলি করব, হত্যা করে ফেলব, জেলখানা ও রিমান্ডে ঢুকিয়ে দেব। ফেরাউন যখন তাদেরকে ভয় দেখায় তখন তারা বলে,

قَالُوا لَنْ نُؤْثِرَكَ عَلَى مَا جَاءَنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالَّذِي فَطَرَنَا

তারা বলল, কিছুতেই আমরা তোমাকে প্রাধান্য দিব না, যে স্পষ্ট সত্য আমাদের নিকেট এসেছে তার উপর এবং যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার উপর।
.
আল্লাহর শপথ! কখনো আমরা এ সত্য ছেড়ে দেব না। কিছুতেই তোমাদের সামনে ঝুকব না। এজন্য যে, আমরা সত্য চিনে ফেলেছি। জীবনের রাস্তা পেয়ে গিয়েছি যে, কোনটি মহাসড়ক আর কোনটি বন্ধ গলি। আমরা বুঝে ফেলেছি কোনটি উন্নতি কোনটি অবনতি, কোনটি উঁচুতা আর কোনটি নীচতা। আল্লাহর শপথ! আমরা তোমার দ্বীনে ফিরে আসব না। তোমার সামনে ঝুকব না। অতঃপর আগ্রসর হয়ে ফেরাউনের সামনে বলল,

فَاقْضِ مَا أَنْتَ قَاضٍ

তুমি যা করার কর!

إِنَّمَا تَقْضِي هَذِهِ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا


তুমি তো কেবল এই দুনিয়াতেই করতে পারবে!
.
তোমরা কেবল এই দুনিয়ার জীবনেই কিছু করতে পারবে। আমাদের আখেরাতের জীবনে তোমাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। ফাঁসি দিলে তো দাও। এছাড়া আর কী করতে পারবে? তোমরা ডাক্তার উসমান রহ. -এর কোনো ক্ষতি করতে পেরেছ? এই যাদেরকে তোমরা ফাঁসি দিচ্ছ; দুই তিনশত ভাইকে তোমরা ফাঁসি দিয়েছ, তারা তো জান্নাতে পৌছে গেছে ইনশাআল্লাহ। 

দুনিয়াতেই তোমাদের ক্ষমতা আছে। আখেরাতে তোমাদের কোনো ক্ষমতা নেই। এমন মুমিনগণ শক্তিশালীর চেয়ে শক্তিশালীদের মোকাবেলায়ও নিজের এই মহান ও অতুলনীয় সম্পদ ঈমান, আমলে সালেহ, দাওয়াত ও জিহাদ ইত্যাদির হিফাজত মূল বিষয় মনে করে। এরাই ঐ মুখলিস লোক, যাদের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা এই খাঁটি ও মহান দ্বীনের দাওয়াত ছড়িয়ে দেন। 

দায়ী এমন লোকেরাই হয়। তাদের মাধ্যমে দাওয়াত ছড়িয়ে পড়ে। এমন মুখলিসদেরকে আল্লাহ তা‘আলা কুফরের মুকাবিলা করার জন্য, কুফরিকে খতম করার জন্য এবং এই অন্ধকারকে দূরীভূত করার জন্য বাছাই করেন। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আমরা সবাই দূর্বল। 

আমরা দোয়া করি, যবান দ্বারা বলি, আল্লাহ তা‘আলা কার্যত অন্তর থেকে এমন বনিয়ে দিন। তিনি এমন মুমিনদের সিফাত আমাদের দান করুন। আমরা খুবই দূর্বল। তিনি আমাদের সাহায্য করুন। তিনি আমাদের শক্তি ও তাওফীক দান করুন।

0 মন্তব্যসমূহ