অসীম দ্বন্দ্বে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে এবং দলগত দৃষ্টিকোণ /(উম্মাহর অবস্থান) থেকে

 

অসীম দ্বন্দ্বে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :

ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে এবং

দলগত দৃষ্টিকোণ /(উম্মাহর অবস্থান)  থেকে


=================================================

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيم

  إِنَّ الْحَمْدَ لِلّٰهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ، وَنَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنْ شُرُوْرِ أنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا، مَنْ يَّهْدِهِ اللّٰهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُّضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ، وَنَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ، وَنَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُه .  أمابعد

 

 

মাকসাদ: আমাদের এ সবকের মাকসাদ হলো অসীম যুদ্ধের এই সফরে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং  দলগত তথা উম্মাহর  দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা।

 


পূর্বের সবকগুলোতে আমরা পড়েছি -  অসীম মানসিকতার মৌলিক  উপাদান দুইটি -


১। কিয়ামত পর্যন্ত ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাওয়া এবং 
২। ক্রমাগত মানোন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা

 

ক্রমাগত যুদ্ধ চলিয়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে এখানে জয় পরাজয় মূখ্য বিষয় বা মূল লক্ষ্য নয়। বরং মূল লক্ষ্য হচ্ছে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া।  


প্রশ্ন আসতে পারে, এই সফরের কি কোনো  লক্ষ্য আছে?

উত্তর হলো, হ্যাঁ, অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য আছে। 


আসলে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যবিহীন কোনো সসীম দ্বন্দ্বে অবতীর্ণ হলেও সফলতা পাওয়া যায় না। তাহলে অসীম দ্বন্দ্বে কি করে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যবিহীন পথ চলা যেতে পারে?  আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তো কুরআন-সুন্নাহ দ্বারাই সুস্পষ্ট এবং সুনির্ধারিত।

 

অসীম দ্বন্দ্বে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের  বিষয়টি দুইটি দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করা উচিৎ - 


ক) ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে এবং
খ) জামাতবদ্ধ অবস্থান তথা উম্মাহর অবস্থান থেকে

 

ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে অসীম মানসিকতা বা অসীম দ্বন্দ্বের মূল লক্ষ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। জমীনের এক ইঞ্চি স্থানেও যদি  দ্বীন কায়েম না হয়, কিন্তু  আল্লাহ আমার উপর সন্তুষ্ট থাকেন, তাহলেই ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে অসীম লড়াই এর লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।  

 

যদি পৃথিবীর সব জায়গায় দ্বীন কায়েম হয়ে যায় এবং পৃথিবীর সব মানুষ  জান্নাতে চলে যায় কিন্তু আল্লাহ্‌ তায়ালা  আমার উপর সন্তুষ্ট না থাকেন, আমার জন্য জান্নাতের ফায়সালা না হয় (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক) তাহলে আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জিত হলো না, আমি ব্যর্থ হয়ে গেলাম। আমার সবকিছু অর্থহীন হয়ে গেলো।  আমার সব কিছুই অর্থহীন, যদি আমি আল্লাহকে সন্তুষ্ট  করে জান্নাতে যেতে না পারি।


জামাতবদ্ধ বা উম্মাহর অবস্থান থেকে ইনফিনিট জার্নির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জমীন থেকে শিরক, কুফর ও জুলুমকে নির্মূল করে তাওহিদ ও ইনসাফ কায়েম করা। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা আমাদের মন মানসিকতাকে তৈরি করি। ব্যক্তিগত ও দলীয় লক্ষ্য একটি অপরটির সাথে সাংঘর্ষিক নয়, বরং একে অপরের পরিপূরক।


উপসংহার: সবসময় লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের কথা মাথায় রেখে আমাদেরকে অসীম দ্বন্দ্বে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে আমাদের ছোট ছোট লক্ষ্যগুলো যেন বৃহত্তর অর্জনের মাধ্যম ও সহায়ক হয়। আমাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং উম্মাহগত লক্ষ্য উদ্দেশ্য উভয়টা যেন একে অপরের পরিপূরক হয়।


ওয়াল্লাহু তায়ালা আ'লাম।

0 মন্তব্যসমূহ