প্রশ্ন: আরব উপদ্বীপে গির্জা ও হিন্দু মন্দির নির্মাণ করা বৈধ কি? আরব উপদ্বীপের সীমানা কোথায়? ইউএই কি আরব উপদ্বীপের অংশ?
প্রশ্ন: আরব উপদ্বীপে গির্জা ও হিন্দু মন্দির নির্মাণ করা বৈধ কি?
উত্তর: প্রথমেই, শিরকের যেকোনো নতুন উপাসনালয় (গির্জা, সিনাগগ, হিন্দু মন্দির, বা এ জাতীয় কিছু) কাফের ও মুশরিকদের জন্য বিভিন্ন মুসলিম ভূখণ্ডে নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়। সেটা সে ভূখণ্ড তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শুরু থেকেই হোক, অথবা শান্তিপূর্ণভাবে দখল করা হোক, কিংবা সামরিকভাবে বিজিত হোক। যে কোনো মুসলিম ভূখণ্ডেই তা বৈধ নয়, শুধু আরব উপদ্বীপে নয়। এই ব্যাপারে সমস্ত মুসলিম ভূমি সমান। যা তারা কাতার বলে, বা যা তারা ইউএই বলে, বা বিলাদ আল-হারামাইন, কিংবা মিসর, কিংবা ইরাক, এমনকি তুরস্ক বা আন্দালুস—সব জায়গাতেই অনুমোদিত নয়! বা মুসলিম ভূমিগুলোর যেকোনো একটি। এমনকি যেসব ভূখণ্ড একসময় ইসলামী ভূখণ্ড ছিল, আর এখন কোনো ধরণের দখলের নিচে রয়েছে, আল্লাহ سبحانه و تعالی মুসলিমদেরকে সেগুলো মুক্ত করতে সাহায্য করুন।
হ্যাঁ, আল-জাযিরাহ আল-আরাবিয়্যাহকে আরও বেশি বিশুদ্ধ রাখা, আরও বেশি সুরক্ষিত রাখা এবং সম্পূর্ণভাবে কুফর ও কাফের থেকে আচ্ছাদিত রাখা জরুরি। তবে এই নির্দিষ্ট বিস্তারিত বিষয় আল-জাযিরাহ আল-আরাবিয়্যাহর একক বৈশিষ্ট্য নয়, বরং এর ভেতরে করা হলে সেটা আরও বড় অপরাধ। কেননা এটি ইসলামী ভূমিগুলোর কেন্দ্রবিন্দু, ইসলাম প্রতিষ্ঠার দুর্গ ও ঘাঁটি হওয়ার কথা। এ ভূমি মুসলিমদের আশ্রয়স্থল হওয়ার কথা, অথচ এখন মুসলিমদের আশ্রয় দেওয়ার পরিবর্তে এ ভূমি তাদেরকে কারাগারে পুরে রাখে বা সবচেয়ে শত্রুভাবাপন্ন কাফেরদের কাছে সমর্পণ করে দেয়। আর যে ভূমি থেকে খাঁটি তাওহীদ ছড়িয়ে পড়ার কথা ছিল, আজ সেটাই আন্তঃধর্মীয় কুফর ও কাফেরদের প্রতি ওয়ালা’ প্রচার করে।
এবং যদিও এ মাসআলায় তা কিছু যায় আসে না, সেটা আরব উপদ্বীপে হোক বা বাইরে, [কারণ] সমস্ত মুসলিম ভূমি এ ব্যাপারে সমান। তবুও আমি সংজ্ঞায়িত করব।
প্রশ্ন: আরব উপদ্বীপের সীমানা কী?ইউএই কি আরব উপদ্বীপের অংশ?
উত্তর: আমি তবুও এ প্রশ্নের উত্তর দেব, কারণ এটা আমাদের কাছে বারবার জিজ্ঞেস করা হয়। সুতরাং, পশ্চিম দিক থেকে আল-জাযিরাহ আল-আরাবিয়্যাহর সীমানা হলো লোহিত সাগর। পূর্ব দিক থেকে এর সীমানা হলো আল-খালিজ আল-আরাবি (পারস্য উপসাগর বা আরব উপসাগর)। দক্ষিণ দিক থেকে এর সীমানা হলো আরব সাগর, যা ভারত মহাসাগরের অংশ, ওমান উপসাগর ও এডেনের কাছাকাছি। আর রাজিহ (শক্তিশালী মত) হলো ইয়েমেন আরব উপদ্বীপের অংশ। সুতরাং পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ দিক থেকে আল-জাযিরাহ আল-আরাবিয়্যাহ তিনটি পানিসীমা দ্বারা বেষ্টিত।
এখন উত্তর দিক থেকে, ইবনু তাইমিয়্যাহ رحمه الله تعالى বলেছেন এটি বিলাদ আশ-শামের সূচনাপ্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। বিলাদ আশ-শাম কী? বিলাদ আশ-শাম বলতে আজকের আল-উরদুন (জর্দান), সুরিয়া (সিরিয়া) , ফিলিস্তিন, লুবনান (লেবানন) এবং আজকের ইরাকের সামান্য অংশ, এমনকি আজকের তুরস্কেরও সামান্য অংশকে বোঝায়, আনতাকিয়ার কাছাকাছি। জর্দান হচ্ছে আল-জাযিরাহর সীমান্ত থেকে বিলাদ আশ-শামের শুরু। জর্দান—আল-উরদুন—এবং এর পিছনের পুরো বিলাদ আশ-শাম, সঙ্গে এর পাশে থাকা ইরাক, এগুলো আল-জাযিরাহর অংশ নয়—এই বিষয়ে উলামাদের বহু মতের মধ্যে এটিই অধিকতর সঠিক মত।
সুতরাং আল-জাযিরাহ আল-আরাবিয়্যাহর ভৌগোলিক সীমানার সার্বিক সংক্ষিপ্তসার হলো—আল-জাযিরাহ আল-আরাবিয়্যাহ তিন দিক থেকে পানি দ্বারা বেষ্টিত ভূমি, এবং তারপর স্থলদিক থেকে এটি থেমে যায় বিলাদ আশ-শাম—জর্দান ও তার পাশে ইরাক—এই জায়গায় এসে।
মুসলিমদের ভূমিতে উপাসনালয় নির্মাণ সম্পর্কিত মাসআলাটি পরিষ্কার, বরং সবচেয়ে পরিষ্কার বিষয়গুলোর একটি। এতটাই পরিষ্কার যে কিছু উলামা এ ব্যাপারে ইজমা’ বর্ণনা করেছেন।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—এবং এটি তাঁর বলা শেষ বিষয়গুলোর অন্যতম—আর আমরা জানি, যখন কেউ মৃত্যুশয্যায় উপদেশ দেন, তখন সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশগুলোর একটি হয়। তাহলে কল্পনা করুন, যখন এটা আল্লাহ سبحانه و تعالی কর্তৃক রাসূলুল্লাহর জবান দিয়ে তাঁর এ পৃথিবীতে শেষ দিনগুলোতে অবতীর্ণ হয়!
كَانَ آخِرُ مَا تَكَلَّمَ بِهِ أَنْ قَالَ " قَاتَلَ اللهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ لَا يَبْقَينَ دِينَانِ بِأَرْضِ الْعَرَبِ ..
আল্লাহর রাসূল যে শেষ কথাগুলোর একটি বলেছেন তা হলোঃ–
“হে আল্লাহ! যুদ্ধ করুন ইয়াহুদী ও নাসারাদের সাথে। তারা তাদের নবীদের কবরকে সিজদার স্থান বানিয়েছে। আরবদের ভূমিতে দুইটি দ্বীন একসাথে থাকবে না।”
মুসনাদ আহমাদে এসেছে, রাসূলুল্লাহর বলা শেষ বিষয়গুলোর একটি ছিলঃ–
“আরবদের ভূমিতে দুইটি দ্বীন একসাথে থাকবে না।”আর নির্দিষ্টভাবে আরব উপদ্বীপ সম্পর্কেই।স
সহীহ মুসলিমে, উমর ইবনুল খাত্তাব رضي الله عنه এর হাদীসে, রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ–
لأُخْرِجَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ حَتَّى لَا أَدَعَ إِلا مُسْلِمًا " .
“আমি অবশ্যই ইয়াহুদী ও নাসারাদের আরব উপদ্বীপ থেকে বের করে দেব, এমনকি আমি সেখানে মুসলিম ছাড়া কাউকেই থাকতে দেব না।”
[সহীহ মুসলিম: ১৭৬৭]
এ জাতীয় আরও বর্ণনা রয়েছে। আর মুসনাদ আহমাদে এসেছে, যখন রাসূলুল্লাহকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কী নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন?
তিনি বললেনঃ–
“আমি মূর্তিগুলো ধ্বং_স করতে প্রেরিত হয়েছি” (وتكسر الأوثان)।
অন্য হাদীসগুলিও এ কথার ইঙ্গিত দেয়। এমনকি এ বিষয়ে যদি কোনো নির্দিষ্ট হাদীস না-ও থাকত, তাও প্রয়োজন হতো না, কারণ এটি মৌলিক বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্ত।
মদ হারাম। এটা পান করা, বিক্রি করা, কেনা—সবই হারাম। তাহলে কি তাদের জন্য বার বানিয়ে দেওয়া হবে, যাতে তারা সেখানে মদ পান করে?
যি_না ও ব্যভিচার হারাম। তাহলে কি তাদের জন্য ব্যভিচারের ঘর বানিয়ে দেওয়া হবে, যাতে তারা সেখানে যি_না করে?
শিরক হলো এই পৃথিবীতে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়ংকর গুনাহ, যা যি_না, মদ ও রিবা একসাথে মিলিয়েও তার সমান হয় না। যে শিরকে পতিত হয়, সে চিরকাল জাহান্নামের জন্য নির্ধারিত। তাহলে কিভাবে কেউ ভাবতে পারে, মুসলিমদের জন্য এটা বৈধ যে তারা তাদের জন্য অভিশপ্ত, ধ্বংসপ্রাপ্ত উপাসনালয় নির্মাণ করবে? অথবা এটা বৈধ যে তারা মুসলিমদের ভূমিতে সেটা নির্মাণ করবে?
এটা এত সাধারণ একটি বিষয় যে, আমি বলেছি কিছু উলামা এ ব্যাপারে ইজমা’ বর্ণনা করেছেন। এবং মনে রাখতে হবে, আমরা যখন এ বিষয়ে কথা বলি, তখন একটি বিস্তারিত বিষয় প্রায়শই উপেক্ষিত হয়। অধিকাংশ উলামা যখন এ মাসআলা নিয়ে কথা বলেছেন, বিশেষ করে পূর্ববর্তী উলামারা তখন সেটি ছিল মুসলিমদের ভূমিতে বসবাসকারী কাফেররা নিজেদের উপাসনালয় নির্মাণ বা সংস্কার করার প্রসঙ্গ। তারা তাদের জন্য সেটি নিষিদ্ধ করেছিলেন অর্থাৎ তাদের নিজেদের জন্য, তাদের নিজেদের সম্পদ, অর্থ ও শ্রম দিয়ে এসব উপাসনালয় নির্মাণ করাও তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
কল্পনা করুন, যখন এটা করে তাগুতরা, যারা নিজেদেরকে তাওহীদের দাবিদার বলে তারা এ উম্মাহর ক্ষুধার্ত পেট থেকে সম্পদ কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন মুশরিকদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ করে, যারা ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন!
যে সকল উলামা এ বিষয়ে ইজমা’ বর্ণনা করেছেন, তাদের মধ্যে আছেন আস-সুবকী। তিনি বলেনঃ–গি
গির্জা নির্মাণ, সংস্কার, মেরামত, নবায়ন বা রক্ষণাবেক্ষণ করা হারাম—এ ব্যাপারে ইজমা’ রয়েছে।"
আর অবশ্যই যখন গির্জা বলা হয়, তখন এর অন্তর্ভুক্ত হয় এ জাতীয় অন্যান্য উপাসনালয়ও, যা মুশরিক ও কাফেরদের জন্য। আজ-জাইলাঈ, যিনি একজন হানাফি, এ ব্যাপারে ইজমা’ বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেনঃ–
“মুসলিমদের শাসনের অধীনে মুসলিম ভূমিতে বসবাসকারী কাফেররা যদি উপাসনালয় নির্মাণ করতে চায়, তবে ইজমা’ অনুসারে তাদের জন্য তা অনুমোদিত নয়।”
আল-ইনসাফ ও আল-ফুরু’তে ইবনু তাইমিয়্যাহ رحمه الله এ বিষয়ে ইজমা’ বর্ণনা করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। মুকতাসার আল-ফাতাওয়া আল-মিসরিয়্যাহ গ্রন্থে তিনি বলেনঃ–
“গির্জা নবায়ন করা মুসলিমদের ঐকমত্যে বৈধ নয়।”
আর অতীতে, যখন শাইখ বকর আবু যায়েদ বিলাদ আল-হারামাইনে কথিত “বড় উলামা”-দের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, প্রায় ১৪২০ বা ১৪২১ হিজরির দিকে, তখন এ বিষয়টি এতটাই স্পষ্ট ছিল যে তারাও নিজেরাই এ বিষয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার ইজমা’ বর্ণনা করেছিলেন।
তারা বলেনঃ–
“কাফেরদের জন্য উপাসনালয় যেমন গির্জা অনুমোদন ও স্বীকৃতি দেওয়া, কিংবা তাদের জন্য নির্দিষ্ট ও বিশেষায়িত উপাসনাস্থল রাখা—এটি কুফরকে সাহায্য করার সবচেয়ে বড় রূপগুলোর একটি এবং তাদের প্রতীকের প্রকাশ।”
তারা “বিশেষায়িত, নির্দিষ্ট স্থান” বলে যা বোঝাতে চেয়েছিলেন, তা হলো যেসব জায়গা তাদের আছে যেমন নির্দিষ্ট নামাযঘর বা হাসপাতাল ও বিমানবন্দরে বহুধর্মীয় নামাযঘর। আর তারা সেটিকে হারাম বিবেচনা করেছিলেন।
আল-হাসান আল-বাসরী বলেনঃ–“
সুন্নাহ থেকে হলো পুরোনো ও নতুন দেশগুলোতে গির্জা ধ্বংস করা।” আত-তারতুশী তাঁর সিরাজ আল-মুলূকে বলেনঃ–
"উমর ইবনু আবদুল আজীয رحمه الله তাঁর ইয়েমেনের ওয়ালী উরওয়া ইবনু মুহাম্মাদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন মুসলিমদের ভূমিতে কোনো গির্জা বা উপাসনালয় অবশিষ্ট না থাকে। আর তাঁর ওয়ালী উরওয়া সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছিলেন।"
আশ-শুরূত আল-উমারিয়্যাহ ভুলে যেও না। যখন মুসলিম ভূমিগুলো প্রসারিত হচ্ছিল এবং তারা আশ-শামের কাছাকাছি পৌঁছাল, যেখানে নাসারারা ছিল, তখন মুসলিমদের জানা প্রয়োজন হলো কীভাবে তাদের সাথে আচরণ করতে হবে। তাই উমর رضي الله عنه আহলুজ্-যিম্মার সাথে সম্পর্ক পরিচালনার জন্য কিছু শর্তাবলী প্রণয়ন করেছিলেন, যা আশ-শুরূত আল-উমারিয়্যাহ নামে পরিচিত। ইবনুল কাইয়্যিম তাঁর ‘আহকাম আহলুয-যিম্মাহ’ গ্রন্থে সেগুলো উল্লেখ করেছেন, অন্যান্য উলামারাও সেগুলো উল্লেখ করেছেন।
ইবনুল কাইয়্যিম বলেনঃ–
“এসব শর্তের প্রসার ও জনপ্রিয়তা তাদের সনদের চাইতেও অধিকতর শক্তিশালী, কেননা উম্মাহ এগুলো গ্রহণ করেছে, তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছে, দলীল হিসেবে ব্যবহার করেছে, আর উমরের পরবর্তী খলিফারাও এগুলো মেনে চলেছেন।”
ঐ শর্তগুলোর মধ্যে একটি হলো—নাসারা (খ্রিস্টানরা) মুসলিম ভূমিতে নতুন গির্জা বা কোনো উপাসনালয় নির্মাণ করতে পারবে না।
কিছু উলামা—হানাবিলা, মালিকিয়্যাহ ও অন্যরা—এতদূর পর্যন্ত আলোচনা করেছেন বা মতভেদ করেছেন যে, তাদের উপাসনালয়ের কোনো অংশ যদি সময়ের সাথে ক্ষয়ে যায় তবে সেগুলো পুনরুদ্ধার বা মেরামত করার অনুমতি দেওয়া হবে কি না।
আস-সুবকী বলেনঃ–
“গির্জা নির্মাণ ইজমা’ অনুসারে হারাম, ঠিক তেমনি এর সংস্কারও।”
“সংস্কার, নবায়ন বা মেরামত হারাম।” আর এ দিকটাই হলো এ বিস্তারিত বিষয়ের অধিকতর সঠিক মত।
সবগুলো মাজহাব—সবগুলো চার মাজহাব—এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ ছাড়াই একমত যে, মুসলিম ভূমিতে কাফের ও মুশরিকদের জন্য কোনো উপাসনালয় নির্মাণ হারাম। মালিক, শাফেয়ী, আহমাদ رحمهم الله, আর আহনাফ মাজহাব (হানাফি) সবগুলোতেই এ বিষয়ে নির্দিষ্ট বক্তব্য রয়েছে। এ ব্যাপারে সবগুলো মাজহাবই একমত, কোনো সন্দেহ ছাড়াই।
– Fatawa Archive
0 মন্তব্যসমূহ