কেন মুসলমান ভোট বর্জন করবে?

 কেন মুসলমান ভোট বর্জন করবে?


— ঈমান রক্ষার আহ্বান



হে মুসলমান!

ভোট মানে কাকে তুমি শাসক বানাবে, কার আইন তোমার জীবনে চলবে — সেই সিদ্ধান্ত দেওয়া।

আর আজকের সকল রাজনৈতিক দলই আল্লাহর বদলে মানুষ-রচিত মতবাদে বিশ্বাসী — কেউ গণতন্ত্রে, কেউ জাতীয়তাবাদে, কেউ সমাজতন্ত্রে, কেউ লিবারেলিজমে।


কিন্তু আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেনঃ


যারা আল্লাহর অবতীর্ণ বিধান অনুযায়ী বিচার করে না, তারাই কাফের।”

[সূরা আল-মায়িদাহ ৫:৪৪]


তাহলে তুমি যদি এমন কাউকে ভোট দাও, যে আল্লাহর আইন নয়, মানব-রচিত আইন মানে —

তবে তুমি আসলে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব অস্বীকারকারী ব্যবস্থাকে সমর্থন দিচ্ছো।


এটাই হলো গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শিরক —

কারণ এখানে “সর্বশেষ সিদ্ধান্তের অধিকার” আল্লাহর না, মানুষের হাতে দেওয়া হয়।


বিধান করার অধিকার একমাত্র আল্লাহরই।

— [সূরা ইউসুফ ১২:৪০]


ইসলামী গণতান্ত্রিক দল” — মুখোশের আড়ালের প্রতারণা


আজ অনেকে বলে — “আমরা ইসলামি দল, কিন্তু গণতান্ত্রিক পথে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবো।”

এটা এক ভয়ংকর প্রতারণা!


কারণ —

গণতন্ত্র হলো এমন এক ব্যবস্থা যেখানে মানুষ আইন প্রণেতা।

আর ইসলাম হলো এমন এক ব্যবস্থা যেখানে কেবল আল্লাহ আইন প্রণেতা।


এ দুইটি জিনিস কখনো একসাথে চলতে পারে না।


যে “ইসলামি দল” বলে তারা গণতান্ত্রিক —

তারা আসলে ইসলামের নয়, গণতন্ত্রের দাস।

তারা ভোটের নামে মুসলমানদের মানব রচিত ব্যবস্থার প্রতি আনুগত্য শেখায়,

যেখানে আল্লাহর হুকুমকে সংসদে ভোটের মুখে ফেলা হয়!


 “তারা কি অজ্ঞতার বিধান চায়? আর আল্লাহর চেয়ে উত্তম বিধানদাতা আর কে হতে পারে সেই জাতির জন্য, যারা নিশ্চিত ঈমান রাখে?”

 [সূরা আল-মায়িদাহ ৫:৫০]


ভোট মানে শুধু রাজনৈতিক কাজ নয়, এটি আকীদার বিষয়।

ভোটের মাধ্যমে তুমি হয় আল্লাহর আইনকে সমর্থন করবে, নয় মানুষের আইনকে।

আর যারা মানুষ-রচিত মতবাদে বিশ্বাসী তাদের পক্ষে ভোট দেওয়া মানে —

আল্লাহর হুকুমকে পিছনে ফেলে মানুষকে ‘রব’ বানানো।

(দেখুন: সূরা আত-তাওবা ৯:৩১)


তাই মুসলমানের ঈমান রক্ষার পথ হলো —


হে মুমিন ভাই-বোন,

আজ যদি তুমি ভোট দিয়ে এমন কাউকে ক্ষমতায় আনো যে আল্লাহর শাসন নয়, মানুষের আইন মানে —

তবে তুমি সেই ব্যবস্থার অংশীদার হয়ে যাচ্ছো।


তাই আসো —


তাগুতী গণতন্ত্রকে বর্জন করো,

আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার শপথ নাও,

খিলাফাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে দাওয়াহ, তালীম, তাযকিয়াহ ও জিহাদের মাধ্যমে কাজ করো।

এটাই ঈমান রক্ষার রাস্তা, এটাই নবীদের পদ্ধতি।


ভোট বর্জন মানে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা নয়,

বরং তাগুতী ব্যবস্থাকে অস্বীকার করে

আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করা।

“যে তাগুতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহতে ঈমান আনে, সে দৃঢ় হাতল ধারণ করেছে।”

[সূরা আল-বাকারা ২:২৫৬]


তোমার ভোট নয় — তোমার ঈমানই তোমার পরিচয়।

তুমি ভোট দাওনি, কারণ তুমি চাও না মানুষ নয়, আল্লাহই হোক সর্বশেষ শাসক ও আইনদাতা।

0 মন্তব্যসমূহ